পুরোনো নুনের গুন আজও বর্তমান, পার্শ্বশিক্ষক অযোক্তিক আন্দোলনে সুজনের মাতব্বরি। বাম এগিয়ে রাম পিছিয়ে প্রথমেই
46,620 total views, 1 views today
তন্ময় সিংহ , ওয়েস্ট বেঙ্গল রিপোর্ট, মেদিনীপুর ঃ-১৯ শে আগস্ট, কলকাতা ঃঃ সিপিএমের কমরেড আর কমরেডদের মহিলা বিগ্রেডের পুর্নবাসন প্রকল্প ছিলো রাজ্যজুড়ে প্রায় পঞ্চাশ হাজার পার্শ্ব শিক্ষক শিক্ষিকার বেশীরভাগের নিয়োগ। একদম কিছু ছাড়া মূলত বাকীরা সিপিএমের হার্ডকোর কর্মী। বাড়ীর সামনের স্কুলে কিছুক্ষণ মাস্টারি করে, বাকি সময় আনুগত্যের সাথে চীনের দালালি করবে, এই ছিলো মূলতো পার্শ্ব শিক্ষক শিক্ষিকার দের নিয়োগের যোগ্যতা। কোনো লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই বাড়ীর সামনে চাকরি পায়,যেখানে লক্ষ মানুষের মধ্যে পরীক্ষায় পাশ করে তারা দূরে চাকরিতে যোগদান করে সাধারণ শিক্ষকরা। সুজন বাবু আজ দরদী নাট্যকারের মতো বুলি আওড়ালেও তিনি ভুলে গেছেন, বাম আমলে তারা শ্রমিকদের মর্যাদা পেয়ে চাকরি করতো,তাদের শিক্ষকের যোগ্যতায় উন্নিত করেছেন শিক্ষাগত যোগ্যতার বৃদ্ধি করে। কোনো পরীক্ষা ছাড়াই, শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলেই অসংখ্য যোগ্য প্রার্থীদের পিছনে ফেলে পার্শ্ব শিক্ষক শিক্ষিকার দের নিয়োগ করে ক্যাডার পুষেছিলো সিপিএম। লোকসভা ভোটে রামবাম জোটের কিছু সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে কখনো অরাজনৈতিক মঞ্চ করে কখনও ঐক্য মঞ্চ করে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সংগঠিত করে শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্যের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে সিপিএমের পেটোয়ারা। অশোক রুদ্রের চওড়া কাঁধে স্বনির্ভর হয়ে তৃনমুল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন সরকারের কাছ থেকে গ্রেড ও ব্যান্ড পরিবর্তনের দাবী আদায় করে নজরুল মঞ্চে। লাল আবীরখেলা প্রমান করে অরাজনৈতিক মঞ্চের চরিত্র, রামবাম জোটের নেতাদের আনাগোনাও ছিলো দেখার মতো। তারপর স্বাধীনতা দিবস পেরোতেই পার্শ্ব শিক্ষক শিক্ষিকার দের পথে নামিয়ে দিয়ে অরাজকতা তৈরী করতে চায় বাম আমলের মতো। এবার রামের দল যাতে না আসতে পারে আগেভাগেই সুজন চক্রবর্তী এসে দাম দেন এই পার্শ্বশিক্ষক দের আনুগত্যের।
এখন প্রশ্ন যারা ১৮০০-২০০০ বেতনে নিয়োগ হয়েছিলেন সব জেনেই তারা কি করে আজ স্থায়ী হতে চায়। আজ যে প্রচুর আংশিক সময়ের ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী আছে সবাই সেই দাবী করবে। কলেজের আংশিক সময়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা কিন্তু কখনোই অধ্যাপক দের সমবেতন দাবী করে না। সরকার এদের কথামত প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে সংরক্ষণ করেছে ১০%, যাতে এরা স্থায়ী হয়। কিন্তু যোগ্যতার অভাব টেট পাশের ক্ষেত্রে বড়ো অন্তরায়। আবার সরকার কাউকে উচ্চ মাধ্যমিক ও ডি এল এড করিয়েছে, যাতে NCTE অ্যাক্ট অনুয়ায়ী এরা শিক্ষাঙ্গনে থাকার যোগ্য হয়। পি এফের টাকা কাটা হচ্ছে, এটি তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই। সরকার কারও চাকরি যাবে না ও রিটায়ারমেন্টে গ্র্যাচুইটি দেওয়ার কথা বলেছে। এছাড়াও এমএসকে ও এসসকে র সমস্ত শিক্ষক দেরও সরকার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে শিক্ষা দফতরের অধীনে এনে পার্শ্ব শিক্ষক হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
তৃনমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি র রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র সরকারের মানবিক দিক টি তুলে ধরেন এক ধাক্কায় এদের বেতন দ্বিগুন করার কথায়।তিনি বলেন সুজন বাবু বেতনের কথা বলছেন ওই প্রসঙ্গে আসা যাক,সিপিএম যাওয়ার সময় পার্শ্ব শিক্ষক দের বেতন ছিলো প্রাথমিকে প্রায় ৫০০০ টাকা। এবার যদি চক্রবৃদ্ধি হারেও এদের বেতন বছরে ৩% করে বাড়ায়, ৮ বছরে বেতন পৌঁছাতো ৬৫০০ এ সর্বোচ্চ। মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জী তা ১০০০০ এর কিছু বেশী করেছেন। অশোক রুদ্র বাবু সাধারন পার্শ্ব শিক্ষক শিক্ষিকার দের সরকারের উপর ভরসা রাখার ও ক্যাডার এবং বিভিন্ন ভেকধারী থেকে দূরে থাকার আবেদন করেন।
